চার বন্ধু মিলে *রাস্তা থেকে একটা বোরকা পরিহিতা মেয়েকে ধরে নিয়ে আসছি জ*ঙ্গ*লে।
আগেই বলে রাখি আমাদের এলাকাটি একটা পাহাড়ি এলাকা।
এখানে ঝো*পে*ঝা*ড়ে (বনেবাদাড়ে) দিনেদুপুরে কাউকে তুলে নিয়ে গেলে কাকপক্ষীও ঠের পাবে না।
আর আমরা যখন নিয়ে গেলাম তখন রাত নয়টা বাজে।
কনকনে শীত চারিদিকে ঘন কু*য়া*শা, লাইটের আলো ছা*ড়া নিজের শ*রী*রে*র পশম পর্যন্ত দেখা যায় না।
কেনো নিয়ে আসলাম? তার পিছনেও একটা কারণ আছে।
আমাদের বয়সও তেমন বেশি না।
এইতো চৌদ্দ থেকে পনেরো বছর হবে সবার বয়স।
আমরা ক্যাবল নিউ টেনে ভর্তি হলাম।
যাইহোক, গল্পে যাওয়ার পূর্বেই আপনাদের কারণটা কি জানিয়ে দেই।
আমরা চার বন্ধুই প*****র্ণ ভিডিওতে আ**স**ক্ত*।
আমাদের আরেক বন্ধু আছে তাঁর নাম সামাদ। সে প্রেম করে ধরা খেয়ে আজ বিয়ে করেছে।
তাঁর ধরা খাওয়া নিয়েই কথা হচ্ছিল আমাদের চারজনের মধ্যে,
কথাগুলোর মাঝে ছিলো অ****শ্লী****ল****তা**য় ভরপুর ।
(আগেই বলে রাখা ভালো গল্পটা ১৮+ না, বাস্তবতা ঘিরে গল্পটি আর শিক্ষণীয়)
আমরা চারজনই খুবই উ**ত্তে**জি**ত ছিলাম।
তাই মেয়েটাকে দূর থেকে দেখেই সিদ্ধান্ত নিলাম, তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়ে ধ****র্ষ******ণ করবো।
সেইফটির জন্য শীতের কাপড় দিয়ে চারজনই মুখটাকে ডেকে নিলাম।
মেয়েটা খুবই ভ***য় পেয়ে গেলো। ভ***য়ে চি**ৎ***কা***র করতে যাবে এমন সময় আমাদের একজন বন্ধু তাঁর মুখে মাফলার দিয়ে বেঁধে নিলো।
তখন আমাদের মাঝে শুধু টানটান যৌ*****ন উ**ত্তে**জ**না* কাজ করছিলো, কোন রকম মায়া কাজ করেনি।
আমরা তাঁকে নিয়ে গেলাম নির্জন এক জায়গায়। একদম নিরিবিলি। যেখানে সাধারণত কোন মানুষ আসা যাওয়া করে না।
যাইহোক, আমরা একজনএকজন করে আমাদের উদ্দেশ্যকে সাকসেসফুল করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলাম।
মেয়েটা পুরোই অসহায়। কোন রকম আকুতি মিনতিও করতে পারছে না! কারণ - আমরা তাঁর হাত পা দুটোই গাছের লত দিয়ে বেঁ*ধে ফেলছি।
সবার আগে আমি যাবো। আমার নাম মামুন মিয়া।
সবাই ভালোবেসে সাগর বলে ডাকে।
যাইহোক - পরিচয় পর্ব ধীরে ধীরে দেওয়া যাবে, এখন গল্পের সামনের দিকে যাওয়া যাক।
আমি মেয়েটাকে কিছু করার আগেই ভাবলাম,
আগে মেয়েটা দেখতে কেমন সেটা একবার দেখা দরকার।
তাই মেয়েটার মুখ থেকে মাফলার খুলে নিয়ে,
মেয়েটার মুখের কাপড় সরিয়ে দিলাম।
মুখে থেকে কাপড়টা সরিয়ে দিতেই আমার কাছে মনে হলো- এই ঘুটঘুটে অন্ধকারের মাঝে নতুন ডিজাইনের নতুন একটা পূর্ণিমার চাঁদ আমার সামনে উদিত হইলো।
তাঁকে দেখামাত্রই তাঁর উপর আমি ক্রাশ খাইলাম।
মুখ থেকে অজান্তেই বের হয়ে গেলো "সুবহানাল্লাহ"!
মাশাআল্লাহ এই দুনিয়ায় এতো সুন্দরও মানুষ আছে।
নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছি না।
আমরা মানুষ নিয়ে আসলাম নাকি পরীকে ধরে নিয়ে আসছি।
আমার সব উত্তেজনা নিমিষেই কেটে গেলো।
আমি তাঁর মায়াবী মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
এমন সময় বাকি তিন বন্ধুরা আমাকে বকাবকি শুরু করছে।
- কিরে শা*লা। কিছু করলে কর আর নাইলে সর, আমরা আর সহ্য করতে পারছি না।
আমি তখন তাঁদের পায়ে ধরে বলতে লাগলাম।
প্লিজ ভাই তোরা মেয়েটাকে ছে*ড়ে দে।
ওকে কিছু করিস না।
-কেন রে? মেয়েটা তোর কি হয়? আর এতো কষ্ট করে নিয়ে আসলাম এখন যা-ই বলিস না কেন, কোন কাজে আসবে না। কি রে কি বলিস তোরা?
বাকি দুইজনও বললো-
-তুই একদম ঠিক বলেছিস।
সর বেট্টা।
তারা আমারে ধমক দিয়ে সরিয়ে দিলো।
আমি তাঁদের ভ*য় দেখানোর জন্য বললাম-
- দেখ তোরা যদি মেয়েটাকে কিছু করিস, তাহলে আমি তোদের বাবাদের বলে দিবো।
তাঁদের মধ্যে একজন বললো-
- দেখ ফাইজলামি করিস না একদম। তোর আমার আমাদের চারজনের সিদ্ধান্তে-ই কিন্তু মেয়েটাকে ধরে আনা হয়েছে।
এখন তুই যদি করতে না চাস, তুই চলে যাহ।
কিন্তু, আমাদেরকে ভ*য় দেখাবি না।
তুই নিজেও কিন্তু এ কাজে জড়িত।
এখন ভুলেও একদম হুজুর সাজার চেষ্টা করবি না।
আমি আবার তাঁদের পা ধ*রে মিনতি করতে লাগলাম।
শেষমেশ আমার মিনতিতে তাঁদের মন গলে গেলো।
মেয়েটা সেই কখন থেকে হাউমাউ করে কান্না করতেছিলো।
আমি তাঁর কাছে গিয়ে বললাম,
-এই মেয়ে, আমরা তোমাকে ছে*ড়ে দিচ্ছি। কিন্তু - তোমার সাথে যা যা হয়েছে তা যেনো কেউ না শুনে।
এটা শুধু তুমি আর আমরা চারজনের মাঝেই লুকিয়ে থাকবে, ঠিক আছে তো?
মেয়েটা মাথা নাড়িয়ে হ্যা সূচক উত্তর জানাইলো।
আমরা মেয়েটাকে যেখান থেকে ধরে নিয়ে আসছিলাম।
সেখানেই আবার ছেড়ে দিলাম।
তারপর, চারজনই যারযার গন্তব্য ফিরে যেতে লাগলাম।
বন্ধুরা আমাকে অনেক দোষারোপ করলো।
আমি তাঁদেরকে বুঝিয়ে বললাম, কিছু মনে করিস না বন্ধু।
মেয়েটাকে দেখে আমার অনেক মায়া হয়েছিলো রে।
বাদ দে না।
তারপর, হঠাৎ আমার মোবাইলে আম্মুর নাম্বার থেকে কল আসলো।
হাই আল্লাহ। আম্মু তো আমাকে দুপুরে বের হওয়ার সময়ই বলে ছিলেন।
-তুই যেখানে যাস কেন, এশারের সময় শহর থেকে
তোর এক খালাতো বোন আসবে। তাঁকে সিএনজি স্টেশন থেকে নিয়ে আসিস।
আমিতো বন্ধুদের আড্ডায় পরে, এই কথাটি একদমি ভুলে গিয়ে ছিলাম।
আমি তড়িঘড়ি করে আম্মুর কলটি ধরলাম।
-আস সালামু আলাইকুম আম্মু।
-ওয়া আলাইকুম ওয়াস সালাম। কিরে সাদিয়া এখনো আসেনি, আর তুই কোথায়?
এইরে এখন আমি আম্মুরে কি জবাব দেই।
- আম্মু আমি স্টেশনেই বসা। তোমার বোনের মেয়ে তো এখনো আসেনি।
- কি বলছিস এসব? এতক্ষণে তো ওর এসে পৌঁছে যাওয়ার কথা। আর ওর মোবাইলটাও সুইচ অফ দেখা যাচ্ছে।
কোন বিপদ আপদ হইলো না তো আবার?
-না আম্মু। আপনি একদম টেনশন করিয়েন না আমি দেখতেছি।
হয়তোবা সিএনজিতে যাত্রী হয়নি তাই এখনো গাড়ি ছাড়ে নাই।
-আচ্ছা খবর নিয়ে দেখ তো তাড়াতাড়ি। আমার তো খুব টেনশন হচ্ছে।
আম্মুকে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম-
-আম্মু টেনশন করিয়েন না। আমি দেখতাছি কি করা যায়?
আমি দৌড়ে গেলাম স্টেশনে। গিয়ে দেখলাম স্টেশন একদম ফাঁকা।
একটা গাড়িও নাই।
খবর নিয়ে দেখলাম - অনেক আগেই একটা গাড়ি এসেছিলো।
এবং সেই গাড়িতে শুধু একটা মেয়েই এসে ছিলো।
কথাটি শোনার পরেই আমার টেনশন শুরু হয়ে গেলো।
তাহলে কি আমার খালাতো বোন-ই সেই মেয়েটা?
ভয়ে আমার বুকে কম্পন শুরু হয়ে গেলো।
আপনারা হয়তো ভাবছেন, আমার খালাতো বোন হলে তো, আমি তখনই তাকে দেখামাত্রই চিনতাম।
হ্যা কথাটি সত্যি। তবে, আমার খালাতো বোনকে আমি বুঝদার হওয়ার পর থেকে একবারো দেখিনি।
কারণ, সে মহিলা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে।
এবং শর'য়ী বিধান মেনে পর্দা করে চলে।
বড় হওয়ার পর থেকে তাঁকে দেখার ভাগ্য আমার একবারো হয়নি।
আমার খালার একটি মাত্রই মেয়ে কোন ছেলে নাই।
শুনেছি খালা অ**সু**স্থ তাই খালু তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছেন।
এজন্যই সাদিয়াকে আমাদের বাড়িতে একা একা পাঠিয়ে দিয়েছেন।
আরো অনেকবার সাদিয়া আমাদের বাড়িতে এসেছে।
তবে, কখনো রাতে কিংবা একা একা আসেনি।
শেষবার এসেছিলো ঠিক দু'বছর আগে।
আমি মনের ভিতর সন্দেহ নিয়ে দৌড়ে গেলাম সাদিয়ার খুঁজে।
কিন্তু, কোথাও খুঁজে পেলাম না।
শে*ষ*মে*শ নিরুপায় হয়ে বাড়িতে ফিরলাম।
বাড়ির বাহির থেকেই শোনা যাচ্ছে একটা নতুন পরিচিত কান্নার শব্দ, যে কান্না ঘন্টাখানেক আগেই আমি শুনেছি।
তাহলে কি আমার সন্দেহই সত্যি হলো?
সাদিয়া তাহলে সবকিছু বলে দিচ্ছে আম্মুকে।
কিন্তু, আমার মুখ খোলা ছিলো না। সাদিয়া কি আমাকে চিনতে পেরেছে?
আমি এখন কি করবো?
.
.
.
চলবে?
0 Comments